দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় ৭টায়। খুলনা অভিমুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় সকাল ৮টায়।
অন্যদিকে দিনের প্রথম ঈদ স্পেশাল ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ৯টা ১৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটা ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১০টা ৫৫ মিনিটে।
ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। অনিক নামে রংপুর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, মহাসড়কের ভোগান্তি কমাতে ট্রেনে বাড়ি ফিরছি, এখানেও ভোগান্তি। তিনি বলেন, রেলপথকে আরও ঢেলে সাজানো উচিত যাতে কেউ ভেগান্তিতে না পড়েন।
আরিফ নামে নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, দেরিতে ট্রেন ছাড়া কাম্য না। দ্বিতীয় দিনেই এমন হলে পরবর্তী যাত্রা কেমন হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, কোনো ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে না। তবে ধূমকেতু, সুন্দরবন, নীলসাগর ও রংপুর এক্সপ্রেস দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে আসায় যাত্রায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করছি যাতে কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হয়।
কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মোট ৬৮টি ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর, চারটি ঈদ স্পেশাল, বাকি ট্রেনগুলো লোকাল ও মেইল সার্ভিস।
অন্যদিকে বিনা টিকিটে কমলাপুর স্টেশনের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্টেশনের মূল ফটকে টিকিট দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। টিকিটবিহীন সবাইকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
স্টেশনে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব), পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আনসার সদস্যরা। যাত্রীদের তথ্য দিয়ে সহযেগিতা করছেন রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
ইএআর/আরআর