এদিকে এসব পশুর ট্রলার ঘিরে চাঁদাবাজির তেমন অভিযোগ না থাকলেও বিভিন্ন হাটের ইজারাদাররা জোর করে গরু নামানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যাপারীরা। এসব রোধে প্রশাসনের নিরাপত্তা ও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, নদী পথে একের পর এক ট্রলারে আসছে গরু। এসব গরুর ট্রলার নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাটে যেমন ভিড়ছে তেমনি নদীপথে যাচ্ছে অন্য জেলার হাটগুলোতে। গরুবোঝাই ট্রলারে গরুর পাশাপাশি আসছে গো খাদ্যও।
নারায়ণগঞ্জের সৈয়দপুর কোল্ড স্টোরেজ মাঠে অস্থায়ী গরুর হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী আকবর হোসেন জানান, তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে এসেছেন। পথে চাঁদাবাজি না হলেও একটি হাটে তার গরু জোর করে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ২৪টি গরু নিয়ে এসেছেন বলেও জানান।
আকবর হোসেন চাঁদাবাজি ও গরু টানাটানি বন্ধে পুলিশের জোর নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বলেন, আসার পথে কোথাও তিনি পুলিশের টহল দেখতে পাননি। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি দ্রুত পুলিশের দেখার দাবি জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেওয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা পর্যাপ্ত টহলের ব্যবস্থা করেছি। নদীপথে কোনো চাঁদাবাজির সংবাদ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ নজরদারি করছে, কেউ জোর করে গরু নামানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাব-১১ এর এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, নদীপথে শনিবার (১৮ আগস্ট) থেকে র্যাবের ২৪ ঘণ্টার টহল টিম থাকবে। কোনো প্রকারের চাঁদাবাজি কিংবা রশি টানাটানি সহ্য করা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
জেডএস