শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাজ্জাক রাজশাহী মহানগরের শিরোইল কলোনির হাজরাপুকুর এলাকার মো. ইসলামের ছেলে।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, গত ৬ আগস্ট রাতে স্থানীয়রা রাজ্জাককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তখন পুলিশকে জানানো হয়, রাজ্জাক এলাকায় মাদক বিক্রি করেন। বিক্রির সময়ই তার কাছে ৪৮ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। সেগুলো পুলিশ জব্দও করে।
তখন আহতাবস্থায় রাজ্জাককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি ৪৮ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এরপর থেকেই পুলিশের হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার তিনি মারা যান।
ওসি বলেন, ঘটনার দিন যারা মারপিট করেছিলেন তাদের নাম মৃত্যুর আগে রাজ্জাক বলে গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজ্জাকের ছোট ভাই শাহিন আলমের দাবি, তার ভাই মাদক বিক্রি করতেন না। বরং তিনি এলাকায় মাদক বিক্রির বিরোধিতা করতেন। এ জন্য এলাকার কয়েকজন মাদকসেবী তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পেটান। পরে ইয়াবা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়।
এ প্রসঙ্গে ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, মামলাটির তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষেই বিষয়টি বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এইচএ/