নাব্য সংকটের কারণে বিগত কয়েকদিন ধরে এ রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সীমিত পরিসরে নয়টি ফেরিতে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ আরো বেড়ে গেছে।
নাব্য সংকটের কারণে কে-টাইপ ও মাঝারি ফেরিগুলো ছোট গাড়ি বহন করছে। এছাড়া ৮৭টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোট নৌরুটে চলাচল করছে।
বিআইডাব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়ায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার সকাল থেকে ঘাটে যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি।
বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সকাল থেকেই লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্যণীয়। নাব্য সংকটের কারণে বাড়তি ১০ মিনিট লাগায় কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছাতে লঞ্চগুলোর সময় লাগছে ৫০-৫৫ মিনিট। বর্তমানে লঞ্চ চালাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
তবে, কিছুদিন আগে চ্যানেলে নাব্য সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা পোহাতে হয়েছিল। ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী সবচেয়ে বড় লঞ্চ ৩০০-৩৫০ ও ছোট লঞ্চ ১০০-১৩০ যাত্রী বহন করে থাকে। তবে বিকেলের দিকে চাপ কমে আসবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী শতাধিক ট্রাকসহ সাড়ে তিন শতাধিক গাড়ি রয়েছে। পণ্যবাহী যেসব ট্রাক ঘাট এলাকায় আসছে, সেগুলোকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।
এদিকে, যাত্রীদের অভিযোগ, স্পিডবোট ভাড়া ১৩০টাকা হলেও ঈদ উপলক্ষে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। এছাড়া লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
শিমুলিয়া স্পিডবোট ঘাটের সুপারভাইজার মো. ওয়ালিদ জানান, সকাল থেকেই স্পিডবোট ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেশি। সময় কম লাগায় স্পিডবোটেই আগ্রহ বেশি যাত্রীদের। বাড়তি কোনো ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে না এবং লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এসআই