সকালে কমলাপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলোয় ঘরমুখ মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অনেকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় পৌনে একঘণ্টা দেড়িতে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সোয়া ঘণ্টা দেড়িতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। এছাড়া চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সোয়া ঘণ্টা দেড়িতে কমলাপুর ছেড়ে যায়।
নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী সুমন বলেন, ‘ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই দেরিতে ট্রেন ছাড়া কাম্য নয়। শুরুতেই এমন হলে বাকি দিনগুলোর যাত্রা কেমন হবে তা নিয়ে সন্দিহান।
কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, কোনো ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে না। তবে সুন্দরবন, তিস্তা ও নীলসাগর এক্সপ্রেস দেরিতে স্টেশনে আসায় যাত্রায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করছি যাতে কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হয়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। তবে বেলা বাড়তেই সেই চাপ কমে আসে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মোট ৬৬টি ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর বাকি ৩৫টি ট্রেন লোকাল ও মেইল সার্ভিস। ইতোমধ্যে যথা সময়ে (৭টা পর্যন্ত) ছয়টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে গেছে। বাকিগুলোও যথা সময়ে ছেড়ে যাবে।
অন্যদিকে বিনা টিকিটে কমলাপুর স্টেশনের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্টেশনে রয়েছে র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আনসার সদস্যরা। পাশাপাশি যাত্রীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।
** ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
ইএআর/ওএইচ/