বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নিজেদের অর্থায়নে শেখ হাসিনার পদ্মাসেতু তৈরির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
‘কিন্তু সেদিন পদ্মাসেতু নিজের টাকায় তৈরি করার অভিপ্রায় এবং সেই স্বপ্নকে সত্য করার কারণেই কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র বদলে গেছে সারাবিশ্বে। তারা মনে করে এই নেত্রী যা বলেন, তা করেন এবং যেটা বলেন সেটা বুঝেই বলেন। ’
আনিসুল হক বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কারণে আমরা মর্যাদার আসনে বসেছি। তার দৃঢ়তার কারণেই আজকে আমরা এখানে বসেছি। তাই আসুন বঙ্গবন্ধুর দিয়ে যাওয়া দেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলায় রূপান্তর করে তার প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধ করি।
‘এই দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য আইন করা হয়েছিল। আজকে দুঃখের কথা আমাদের শুনতে হয়, এখানে মানবতাবিরোধী কাজ চলছে। হিউম্যান রাইটসের ব্যাপারে আমাদের অনেকেই জ্ঞান দেন। তাদের কাছে আমার শুধু একটাই প্রশ্ন সেইদিন আপনারা কই ছিলেন; সেই ২১ বছর আপনারা কই ছিলেন। যখন এই দেশে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স ছিল। আপনারা তো কেউ মুখ খুলে বলেন নাই, এই ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স বাতিল করতে হবে। ’
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন বেগম ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো জাকির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট রাতে নিহত তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
ইএস/এমএ