![]() প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো |
ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও জিয়াউর রহমান তাদের দূতাবাসে চাকরিসহ বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছিলো জিয়ার স্ত্রী (খালেদা জিয়া)। তার অর্থ কি দাঁড়াচ্ছে জিয়াউর রহমান একাই নয়, তার স্ত্রীও ১৫ আগস্টের হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মেজর জিয়া ও তার স্ত্রী, আমার তো মনে হয় এমন কোনো মাস নাই, তারা আমাদের বাড়িতে না আসতেন। এই যে ঘন ঘন আসা, এর পেছনেও কী ষড়যন্ত্র ছিলো? ডালিম ২৪ ঘণ্টা আমাদের বাড়িতেই পড়ে থাকত, এমন কোনো দিন নাই যে সে (জিয়া) আসতেন না।
‘জিয়াউর রহমানের মেজর প্রমোশন দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই তো তাকে মেজর জেনারেল করেছিলেন,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জিয়া রাষ্ট্রপতি হলো, সূত্রটা যদি খোঁজেন। জিয়া ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলেই সে রাষ্ট্রপতি হয়েছে। আমি তো বলবো, জিয়া একটা এজেন্ট হিসেবেই কাজ করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিরা খুনিই হয়। এই খুনিরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। বার বার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। কাজেই এদের হাতে দেশের ক্ষমতা গেলে দেশের কি উন্নতি হবে, দেশের মানুষ কি ন্যায় বিচার পাবে?’
জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাদের ক্ষমতা দখল তারা কখনও ন্যায় বিচার করতে পারে না।’
১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে, তার হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা যদি থাকতো তবে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাঙালি জাতি ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতো, উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেতো।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধে সকল চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা তো এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন চায় না। বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াক চায় না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এখনো চায় না।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শ ম রেজাউল করিম, কার্যনির্বাহী সদস্য সিমিন হোসেন রিমি ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। পরে কবিতা আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮/আপডেট:২১১৫ ঘণ্টা
এমইউএম/এমএ