মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) রাতে জোয়ারের পানির চাপে মাঝিডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৪/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে ভৈরব নদীর পানি ঢুকে দুই গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৫ আগস্ট) সকালে মাঝিডাঙ্গা গ্রামের রোজিনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শোঁ শোঁ শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখি খাটের নিচে পানি। পড়ে ঘরবাড়ি সব জায়গায় পানি উঠে গেছে। এখন ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি সংস্কার না হলে আমাদের আর বসবাসের অবস্থা থাকবে না।
শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস অন্তরা জানায়, রাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও তলিয়ে গেছে।
রিহিমা বেগম, আদর, সবেবরাতসহ কয়েকজন বলেন, পানিতে আমাদের বাড়িঘর ডুবে গেছে। রান্না-বান্না খাওয়া-দাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘের-পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সকালে স্থানীয়রা মিলে ভেঙে যাওয়া বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণের চেষ্টা করা হলেও পানির চাপে করতে পারছি না। এ অবস্থায় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকা ছেড়ে যেতে হবে আমাদের।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, পানিতে এলাকার সব জায়গা তলিয়ে গেছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ভাঙ্গন কবলিত স্থান যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের চেষ্টা চলছে। জনগণের ক্ষতি পোষাতে প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবারই (১৪ আগস্ট) বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছেন রিফাত জামিল।
নবনিযুক্ত এ কর্মকর্তা বলেন, খোঁজ খবর নিতে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এসআই