১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব শহীদ এবং ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সন্তান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর তিনি সময় পাননি। তারপরও তিন বছর সাত মাসে অনেক কাজ করে গেছেন। কায়েমী স্বার্থবাদীরা বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারেনি। আমাদের মাথা উঁচু করে বাঁচানোর জন্য জীবন দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পেছনে ছিলেন একজন মহিয়সী নারী, তার নাম শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। তিনি সব সময় বঙ্গবন্ধুর পেছনে ছায়ার মতো লেগে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে অনেক রাজনীতিক সিদ্ধান্তও দিয়েছেন।
লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন তখন আওয়ামী লীগ দল কে চালাতেন? কে খরচ দিতেন? দল চালানো ও খরচ দিতেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। তিনি নেতাকর্মীদের বলতেন, বঙ্গবন্ধু নেই তো কি হয়েছে, আমি তো আছি।
মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দু’জন নারীর আদর্শ আপনারা ধারণ করবেন। সে দু’জন হলেন- শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ হাসিনা। শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবনী থেকে অনেক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেন এবং সরাসরি শেখ হাসিনার কাছ থেকে আপনারা শিক্ষালাভ করতে পারেন। তাদের কাছে অনেক শেখার আছে।
লিটন বলেন, এখন সবার মুখে নৌকা নৌকা। এটা ধরে রাখতে হবে। আমরা এমন জায়াগায় চলে এসেছি আগামী ২৫/৩০ বছরে নৌকার বাইরে কেউ অন্যকিছু ভাববে না।
মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সালমা রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কানিছ ফাতেমা মিতুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সভা শেষে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সব শহীদ এবং ২১ আগস্টের সব শহীদ এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসএস/আরবি/