এরমধ্যে এবারের ঈদে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে ভারতের রাজস্থান থেকে আনা দু’টি ‘কনকরাজ’ ষাঁড়। ওই দু’টি গরু আট লাখ করে ১৬ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।
ফার্মের কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্যন্যা খামারের চেয়ে তার গরুর দামও তুলনামূলকভাবে কম। এরফলে এরইমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়েছে।
তারা বাংলানিউজকে বলেন, তিন বছর হলো এই ব্যবসা শুরু করেছি। এরমধ্যে একবার যারা আমাদের থেকে গরু কিনেছেন, তারা আবার কিনতে আসছেন। গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। এই খামারটির পাশে সাদেক ও আল আইমান অ্যাগ্রো নামের দু’টি ফার্ম রয়েছে। এগুলোতেও বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মুহিত লাল মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, গতবার পাঁচটি গরু নিয়েছি। এবারও এ খামার থেকে সাতটি গরু দু’মাস আগে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোরবানির জন্য কিনেছি। সময় সুযোগ পেলে দেখতে যাই ফার্মে। গরুগুলোকে কি খাওয়ানো হচ্ছে, কোথায় রাখছে, ঠিকমতো যত্ন নিচ্ছে কি-না। কোনো ধরনের ইনজেকশন কিংবা বিষাক্তদ্রব্য নয় বরং গম, ভূষি, ভুট্টা, খেসারি-মসুরি-মুগ ও মাসকলায়ের ডাল খাওয়ানো হয় বলে জানা গেছে। ছাড়াও ছোলা, ঘাস আর খড় খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।
সার্বিক বিষয়ে সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইফতেখার হাকিম আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন যাতে গ্রাহকরা নির্ভেজাল গরু কোরবানি দিতে পারে সেই লক্ষে আমরা এই ফার্মটির যাত্রা শুরু করেছি। আমরা গ্রাহকদের সুবিধার্থে ঢাকার ভেতরে যেকোনো এলাকায় অর্ডার দিলে ফ্রি অফ কস্টে কোরবানির গরু বাড়ি পৌঁছায়ে দেই। কেউ বাড়িতে গরু রাখতে না চাইলে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত আমরা গরুটি ফার্মে যত্ন সহকারে রাখি। শুধু কি তাই আমাদের এখানে অগ্রিম বুকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানান তিনি। এ কারণে একবার যারা এখান থেকে গরু কিনেছেন। তারা এবারও অর্ডার দিয়েছেন বলে জানান ইফতেখার।
তিন বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে চাকরি পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হয়ে ২০১৫ সালে এ ব্যবসা শুরু করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ইফতেখার হাকিম আহসান, ওয়ালিদ হাকিম আহসান এবং প্রিন্স দস্তগীর নামে তিন বন্ধু। এবার তাদের ইনভেস্টমেন্ট অর্ধকোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এমএফআই/এএটি