গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমানের কাছে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্যাক্স বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এদিকে, শোক দিবস পালন উপলক্ষে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের সীমানা মুকসুদপুর থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরগোবরা এবং ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিস্থল পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক কালো কাপড়ে মোড়া তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এসব তোরণ নির্মাণ করেছেন জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায়ের অনেকে।
এছাড়া গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে কালো কাপড়ের পতাকা টানানো হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বাংলানিউজকে জানান, জাতির জনকের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে জেলাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। সড়ক-মহাসড়কে কালো কাপড় দিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে স্ব-উদ্যোগে কাঙালিভোজ অনুষ্ঠিত হবে।
গোপালগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন হবে বলে আমরা আশা করছি। এজন্য জেলা পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এনটি