সোমবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
‘পার্টিশন পলিটিক্স: ইমপ্যাক্টস অন সোসাইটি, ইকোনমি, কালচার অ্যান্ড ইন্দো-বাংলা রিলেশনস (১৯৪৭-২০১৮)’ প্রতিপাদ্যে জানা-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেক্টিভ (আরডিসি) সম্মেলনের আয়োজন করে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে বাংলাদেশে স্মরণীয় সফর করেন। তখন ভৌগোলিক সীমা বাস্তবায়ন করেছিলেন। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতে গিয়েছিলেন তখন নরেন্দ্র মোদী দুই দেশের সম্পর্ককে সোনালি অধ্যায় হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো কিভাবে এই সম্পর্ক সামনের দিনে টেকসই হবে। এটা রাজনীতির ওপর নির্ভর করবে না, নির্ভর করবে জনগণ ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের ওপর।
দুই দেশে মধ্য সভ্যতার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক লিংকেজ রয়েছে। ৫৩ নদী আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত। সব নদী ভারত থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে আসেনি কিছু নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতেও গিয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়, লালন ফকির তারা দুই দেশেই অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামালের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন ভারতের জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সুচিতা মহাজন।
আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্সেস (কারাকাস), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় হাইকমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ