জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে রোপা আমনের জন্য জেলায় বীজতলা তৈরি করা হয়েছে, স্থানীয় কৃষকরা বুনেছেন বীজ। এখন বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধানে ৫ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় হাইব্রিড ১৫ হেক্টর, উফশী ১ হাজার ১৬২ ও স্থানীয় জাতের ১৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। রায়পুরে হাইব্রিড ৬৫ হেক্টর, উফশী ৬৬০ ও স্থানীয় ১৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। রামগঞ্জে উফশী জাতের ২২৫ হেক্টর, রামগতিতে উফশী ১ হাজার ২৫০, স্থানীয় ১৫০ ও কমলনগরে উফশী ১ হাজার ৪৯০ ও স্থানীয় জাতের ১৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়। কৃষকরা এসব বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে ধানের আবাদ করছেন। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কাটা হবে।
চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৫৯৭ হেক্টর। হাইব্রিড ৪৬৮ হেক্টর, উফশী ৬৭ হাজার ৫৯৪ ও স্থানীয় জাতের ৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। গত দু/তিন সপ্তাহ ধরে জেলার চরাঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়। অবশিষ্ট জমিতে আমন আবাদে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমের শুরু থেকে পরিমিত বৃষ্টি হয়েছে। ধান আবাদের জন্য জমিতে পর্যাপ্ত পানি আছে। যেসব জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়নি সেসব জমিতে চারা রোপণ করা হচ্ছে। বেশ কিছু জমিতে আউশ কাটার অপেক্ষায় রয়েছে। আউশ ধান উঠলেই আমনের জন্য প্রস্তত করা হবে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, জেলায় আমন ধানের আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসআর/আরআর