রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার রফিকুল ইসলাম ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টার দিকে তিনি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাসের প্রায় অর্ধেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর তিনজন শিক্ষার্থী ক্লাসে ঢোকে। তারা প্রায়ই দেরি করে ক্লাসে আসে। এ নিয়ে তাদের তিনি জানিয়ে দেন ভবিষ্যতে এমন দেরি করে এলে ক্লাসে ঢুকতে দেবেন না। ওই তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক আব্দুস সামাদ সরকারের মেয়ে। সে ক্লাস থেকে বের হয়ে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। এতে সহকারি গ্রন্থাগারিক আব্দুস সামাদ সরকার ও তার ভাতিজা একই কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক জাহিদুল ইসলাম বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে ক্লাসে ঢুকে লাঠিসোটা নিয়ে তাকে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় ওই শিক্ষকের চিৎকারে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি হাত, চোখ ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
এ ঘটনায় শিক্ষক রফিকুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে হামলাকারীদের নাম পরিচয় উল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী গ্রন্থাগারিক আব্দুস সামাদ সরকার জানান, তেমন কোনো ঘটনা হয়নি। সামান্য তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পরই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
আরএ