রোববার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা।
গত মঙ্গলবার এক সাধারণ সভায় এডহক ও মাস্টার রোলের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ, টাইপিস্ট পদটি পরিবর্তন করে কম্পিউটার অপারেটর পদে রূপান্তর করা, ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া এবং সব কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন কার্যকরের দাবি পেশ করে কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
কারিগরি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ এবং তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে, মাইক ব্যবহার করে বিক্ষোভ সমাবেশ করায় ক্লাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, প্রায়ই কর্মচারীরা প্রশাসন ভবনের সামনে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে আন্দোলন করে। এতে তাদের ক্লাস করতে সমস্যা হয়। তাদের দাবি যৌক্তিক হলে প্রশাসনের উচিত মেনে নেওয়া আর তা না হলে তাদের নিবৃত্ত করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য জসিমউদ্দিন খান বলেন, একটি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় কোনো ধরনের নিয়োগে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যান্য দাবির বেশ কিছু গঠিত কমিটিতে বিবেচনাধীন আছে। যেকোনো যৌক্তিক দাবি আমি মেনে নেব, তবে প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য সময় দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
আরএ