ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যত দ্রুত সম্ভব ৬ কোম্পানির অধীনে বাস চালানো হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
যত দ্রুত সম্ভব ৬ কোম্পানির অধীনে বাস চালানো হবে ঢাকার রাস্তায় প্রায় ২০০ পরিবহন চলে বলে সম্প্রতি জানায় মহানগর পুলিশ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব বাস রুট ‘ফ্রাঞ্চাইজি’ করা হবে। অর্থাৎ ছয় কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। 

তিনি বলেছেন, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজি করলে সেটি হতে পারে নিরাপদ সড়কের জন্য একটি কার্যকরী উদ্যোগ।

রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে হোটেল সোনারগাঁও এর ব্যালকনি হলরুমে মাসব্যাপী ক্লিন অ্যান্ড সেইফ মোবিলিটি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক রফিকুর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল।

‘আমাদের পথ, আমাদের হাতেই নিরাপদ’- শীর্ষক স্লোগানে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়র বলেন, জাইকার অর্থায়নে মহানগরীর চারটি ইন্টারসেকশনে অর্থাৎ গুলিস্তান (ফুলবাড়িয়া), পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১ এ ভেহিকুলার ইমেজ ডিটেক্টর ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা এবং পৃথক লেন অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও জানান মেয়র।

বক্তব্য রাখছেন মেয়র সাইদ খোকন।  ছবি: ডি এইচ বাদল
তিনি জানান, এছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি সড়ক ইন্টারসেকশনে জেব্রা ক্রসিং ও লেন সেপারেটর ডট সলিড রোড মার্কিং স্থাপন করা হবে। পথচারী পারাপার ২৯৪টি, সামনে বামে মোড় ৫০টি, ডানে মোড়/ইউটার্ন ৩২টি, বামে/ডানে/ইউটার্ন নিষেধ ৩০টি, বামে থাকুন/ উভয় দিকে চলুন ৩০টি, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন সাইনবোর্ড ৬৪টি, দিক নির্দেশনামূলক চিহ্ন ১০০টি অর্থাৎ মোট ৬০০টি ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা হবে। তাছাড়া ১৭টি যাত্রী ছাউনি/বাস স্টপ করা হবে।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম করলেই নিরাপদ সড়ক পাওয়া যাবে না, যদি না আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়।
এসময় তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গণমাধ্যমে আসে এতো বোতল ফেনসিডিল রোলার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কখনও কি শোনা গেছে ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এতোগুলো মোটরসাইকেল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? অর্থের হিসেবে দু’টোই তো মূল্যবান।

নিজের বাস্তব জীবনের উদাহরণ টেনে স্থপতি মোবাশ্বের বলেন, একদিন আমার বন্ধুর ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডধারী গাড়ি নিয়ে বের হলাম আর চালককে বললাম এক ঘণ্টা সব ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে চালাবে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলেও ট্রাফিক পুলিশ স্যালুট দিচ্ছেন। তাই, আমি বলবো, সমস্ত গাড়ির ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড নামিয়ে ফেলার। আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে ছয় মাসের মধ্যে যানজট নির্মূল করা সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এসএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।