শীতলক্ষ্যা নদীর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যার পানি একেবারেই অস্বচ্ছ কালচে রঙয়ের। এই পানি আগে গোসল করা থেকে আশপাশে দোকান ও বাসাবাড়ির কাজে ব্যবহার করা হলেও এখন এই পানিতে মানুষ হাতও দিতে চায় না।
জানা যায়, বিভিন্ন শিল্প কারখানার বর্জ্য এই নদীতেই নিঃসরণ করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই ইটিপিও। শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীর পানির সঙ্গে মিশে এই পানিকে দূষিত করে তুলেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনাও ফেলা হয় নদীতে, এর ফলে নদীর পানিতে এই কারখানার বর্জ্য ও ময়লা মিশে সৃষ্টি করছে এক ধরনের দুর্গন্ধের। এর ফলে মানুষ শীতলক্ষ্যার সেই স্বচ্ছ অতীত ভুলতে বসেছে। সেন্ট্রাল ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রী আকবর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নদীর পানি অস্বচ্ছ তার উপর রয়েছে দুর্গন্ধ। অথচ এই নদীর পানি আগে মানুষ কত কাজে ব্যবহার করতো। এখানে গোসল করতো মানুষ। পানির সেই ঐতিহ্য আর নেই।
ঘাটে নৌকা চালানো মাঝি সরদার মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কল কারখানার ময়লা আইসা আমাদের পানিকে ময়লা কইরা দিসে। আমি ম্যালা বছর ধইরা এখানে নৌকা চালাই। আগে এই পানি দিয়াই গোসল করতাম, অনেকরে দেখসি এই পানি খাইতেও। এহন তো আর এই পানিতে হাতও দেওন যায় না, ময়লা আর গন্ধ।
জেলে রফিক ব্যাপারী জানান, নদীতে আগে মাছ ধরতে আনন্দ পেতাম। মাছও যেমন ধরতে পারতাম তেমনি পানিও ছিল পরিষ্কার। এখন তো পানি দূষিত আর এই পানিতে ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি অনেক সময় মরা মাছও ভাসতে দেখি। শিল্প কারখানাগুলোই এ জন্য দায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এএটি