এ ঘটনায় নিটারের বিএসসি ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া ছিনতাই চেষ্টার সময় ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রাজ্জাক খান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী ছাত্র এবং লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই অনলাইন শপিং পোর্টাল বিক্রয় ডট কমে একটি ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন নোমান। এ সূত্র ধরে শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ল্যাপটপটি কেনার করার কথা বলে নোমানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে ডেকে নিয়ে আসেন পাঁচ ব্যক্তি। এসময় কথাবার্তার একপর্যায়ে ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাওয়া ব্যক্তিরা নোমান এবং তার সঙ্গে থাকা সহপাঠী মাহমুদুল ইসলামকে শিবির-জঙ্গি-চোরসহ বিভিন্ন অপবাদ দিতে থাকেন এবং তাদেরকে মারধর করে ল্যাপটপটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় দুই শিক্ষার্থীর ডাকে সারা দিয়ে আরও সহপাঠী এগিয়ে এসে ওই পাঁচ ছিনতাইকারীকে ঘিরে ফেলেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছিনতাইকারীদের একজন নিজেকে আশুলিয়া থানার এএসআই মামুন পরিচয় দিয়ে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে আটকের চেষ্টা করলে এএসআই মামুন পরিচয়দানকারী নিজের কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ছিনতাই চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করেন।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লা আল নোমান। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার এএসই মামুনের বিরুদ্ধে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া প্রাপ্ত অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এনএইচটি