শনিবার (১১ আগস্ট) কল্যাণপুর ও গাবতলী ঘুরে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। এখন ঈদযাত্রা শুরুর অপেক্ষায় বিভিন্ন রুটের বাস।
শ্যামলী পরিবহনের কল্যাণপুর শাখার কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (১০ আগস্ট) আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ করেছি। এখন আর অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। এখন যাত্রা শুরুর জন্য গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
একই অবস্থা এসআর পরিবহনের। তারাও শুক্রবার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ করেছে। এসআর পরিবহনের কল্যাণপুর শাখার বিক্রয় প্রতিনিধি মো. মমিন বলেন, আমাদের সবগুলো ট্রিপের টিকিট বিক্রি শেষ। এখন আর কোনো অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। এখন রানিং গাড়ির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
শ্যামলি পরিবহনের বাসগুলো উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও কুষ্টিয়ায় যাতায়াত করে। এই পরিবহনের সব রুটে প্রায় ৪০ ট্রিপ গাড়ি ছাড়ে দিন-রাত মিলে। এবারের ঈদের সবগুলো ট্রিপের টিকিট বিক্রি শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া কাউন্টারে টিকিট প্রত্যাশী কোনো যাত্রীও লক্ষ করা যায়নি।
ঈদযাত্রায় সবচাইতে বেশি ভিড় হবে ২০ আগস্ট। কেননা ওইদিন পোশাক কারখানাসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। তাই পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ২০ আগস্ট সকাল থেকে রাত সব সময় যাত্রীদের চাপ থাকবে। তবে বিকেলের পর ভিড় সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে। তখন হয়তো লোকাল পরিবহনগুলোও রাস্তায় নেমে যাবে-এমনটিই মনে করছেন সোহাগ পরিবহনের গাবতলী শাখার ম্যানেজার সোলাইমান হোসেন।
বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া হচ্ছে প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৪২ পয়সা ধরে এর সঙ্গে যোগ হবে টোল চার্জ/ফেরি ভাড়া ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ যদি ৩১০ কিলোমিটার পথ হয় তাহলে ভাড়া আসবে ৬২৮ টাকা ৪৫ পয়সা। বাস কাউন্টারগুলোতে বাস ভাড়ার এই চার্ট টাঙানো রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এসএম/আরআর