শুক্রবার (১০ আগস্ট) সকালে ধামরাই সরকারি হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিহত তোফাজ্জল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তোতা মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার দাবি, সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১৩ মাস ধরে গ্রাম পুলিশে (চৌকিদার) চাকরি করেন তোফাজ্জল। এই পর্যন্ত কোনো বেতন পাননি তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) চেয়ারম্যানের কাছে বেতনের কথা বলতে গেলে উল্টো বকাবকি করেন তিনি। এসময় তিনি রাগ করে বাড়িতে চলে আসেন। পরে ওই রাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তোফাজ্জল।
পরিবারের লোকজন টের পেয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূয়াপুর ইউনিয়র পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোরহাব হোসেনের বাংলানিউজকে বলেন, ‘তোফাজ্জল আমার পরিষদে কর্মরত ছিল না। তিন বছর আগে ১০ থেকে ১৫ দিন ডিউটি করেছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ইন্টারভিউ দিতে গেলে তোফাজ্জলকে আনফিট করে দেন। ’
‘আর আমি চৌকিদারের বেতন দেওয়ার কে? বেতন দেয় সরকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে। তোফাজ্জল আত্মহত্যা করার আগে গ্রাম পুলিশ ছিল না’— যোগ করেন চেয়ারম্যান সোরহাব হোসেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল ফয়সাল মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
জিপি