বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, বাড্ডা এলাকার বিভিন্ন সড়কের দৃশ্যপট ছিলো এমনই।
ফলে অফিস শেষে বাসায় ফিরতে পরিবহন সংকটের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে মানুষকে।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের শাখায় কাজ শেষে মিরপুরগামী বাসের অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রী ইমতিয়াজ আহমেদ শাকিল। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট থেকে ২টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। এরপরও বাসের দেখা পাননি, পেলেও যাত্রীদের চাপে তিনি আর বাসে চেপে বসতে পারেননি।
বললেন, এই সময় নিউভিশন ও মক্কা পরিবহনের দুটি বাস আসছে কিন্তু ভিড়ের কারণে উঠতে পারিনি। অথচ এই জায়গা থেকে প্রতি মিনিটে বাস যায়। ডেকে ডেকে যাত্রী তুলে।
তার সঙ্গে যোগ করে লিটন খন্দকার নামে আরেক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ছেলেকে নিয়ে কুড়িলের কাজীবাড়ী এলাকায় যাবো, আধঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্ত কোনো পরিবহনের বাস দেখছি না। চিন্তা করছি মালিবাগ পর্যন্ত রিকশায় গিয়ে তারপর বাসে যাবো।
তার মতো আরো অনেককেই অল্প দূরত্বের পথ হেঁটে কিংবা রিকশায় চড়ে গন্তব্য যেতে দেখা গেছে। পরিবহন সংকট বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর-সদরঘাট রুটে চলাচলকারী সুপ্রভাত পরিহনের চালক মন্টু ঘোষ বলেন, চালকের লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাজধানীতে না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘হঠাৎ বিশেষ অভিযানের কারণে রাস্তায় গাড়ি কম। লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি রাস্তায় চলছে না। তাই গাড়ি কম। ’
বিকল্প পরিহনের সুপারভাইজার মাহমুদুল আশিক বলেন, সড়কে বিভিন্ন ধরনের অভিযান চলছে। তাই অনেক গাড়ি রাস্তায় নামেনি।
গত বুধবার (০৮ আগস্ট) রাজধানীর রাস্তায় চুক্তিভিত্তিক এবং ফিটনেসহীন বাস চালানো বন্ধের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে কোনো কোম্পানির মালিক চালকের সঙ্গে কন্ট্রাক্টে গাড়িতে পারবেন না। চালালে তার নিবন্ধন বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি সমিতি থেকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি দেন খন্দকার এনায়েত।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এমএফআই/এমএ