তিনি বলেন, এ কারণে তারা বারবার সংঘাতের উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে ব্যর্থ হয়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের উপর ভর করেও ব্যর্থ হয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। বিকেলে সচিবালয় চত্বরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড মারে তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, তাদের সঙ্গে কি সংলাপ হয়? তারপরও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে ডিনারের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সংলাপে বসতে চেয়েছিলেন, তারা আসেননি। না এসে যে ভাষায় কথা বলেছিল সেটা কোনো রাজনীতির ভাষা না। এরপরও কি তাদের সঙ্গে সংলাপ হয়।
‘যারা সংলাপের কথা বলে তাদের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আমরা চাই না কিএনপি ছাড়া নির্বাচন হোক। আসলে সংলাপ বিএনপির ছলনা। তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো ফলাফল আসবে না। ’
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ভুয়া ছাত্র সাজিয়ে, স্কুলব্যাগ কাঁধে দিয়ে ভেতরে ছুরি, চাপাতি, আগ্নেয়াস্ত্র- এটা কি ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ। এটা ভুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ। তারা কোটা আন্দোলনে ভর করে ব্যর্থ হয়েছে। এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও ভর করে ব্যর্থ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ না করলে আমরা নিজেদের অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে ছোট করবো। বঙ্গবন্ধু ছোট হবেন না। তার নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি বদরুল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, আইন সচিব এএসএসএম জহিরুল হক, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এসকে/এএ