ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তি পেলেন হাসনাত করিম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
মুক্তি পেলেন হাসনাত করিম

ঢাকা: অবশেষে মুক্তি পেলেন রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলায় আটক হাসনাত করিম।

বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

পরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাাগরের (হাই সিকিউরিটি সেল) সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



এসময় তিনি বলেন, হাসনাত করিমকে হলি আর্টিজান মামলায় অব্যাহতি দিয়ে আদালত থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটি যাচাই-বাছাই করে বিকেলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার (০৮ আগস্ট) পুলিশি তদন্তে অপরাধের সঙ্গে বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাতের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল।

তারও আগে গত ২৯ জুলাই এ মামলায় ২১ জনকে চিহ্নিত করে আটজনের নামে চার্জশিট আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, চিহ্নিত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন, জীবিত আছেন আট জন।

নিহত ১৩ এর মধ্যে পাঁচজন হলি আর্টিজানে হামলার সময়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছিলেন। বাকি আটজন নিহত হয়েছেন পরবর্তী বিভিন্ন অভিযানে।

জীবিত আটজনের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং দুইজন পলাতক।

বিভিন্ন অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

এছাড়া হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে ঘটনাস্থলেই নিহত পাঁচজন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে কারাগারে থাকা ছয়জন হলেন- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ।

এছাড়া পলাতক দুই আসামি হচ্ছেন শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

এদিকে, হামলার পরদিন সকালে হলি আর্টিজান থেকে আটক হাসনাত করিমের নাম চার্জশিটে আসেনি।

চার্জশিটে ২১১ জনের সাক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪৯ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ১৭ জন রয়েছেন।

২৩ জুলাই প্রথমে চার্জশিটের একটি খসড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালানো হয়। এতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।  

এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।

হলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীকে। ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হন তামিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।