ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উদ্দীপ্ত ট্রাফিক পুলিশ, শৃঙ্খলায় ফিরছে নগরী

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
উদ্দীপ্ত ট্রাফিক পুলিশ, শৃঙ্খলায় ফিরছে নগরী উল্টোপথে আসা বাইকারকে মামলা দিচ্ছেন এসআই কাজল

ঢাকা: বেইলি রোডে উল্টো পথে আসা একটি বাইকের গতিরোধ করলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কমিশনারের হুমকি দিলেন বাইকার মুরাদ। নাছোড়বান্দা কনস্টেবল বললেন, হুমকি দিয়ে লাভ হবে না! এখন মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ, মিডিয়া কোনো পরিচয়েই কাজ হবে না।

শেষ পর্যন্ত কাজ হলোও না। নিয়ে গেলেন সার্জেন্ট কাজলের কাছে।

মৃদুভাষী সার্জেন্ট ভদ্রভাবে ওই বাইকারকে বুঝিয়ে ঝটপট মামলা দিলেন। যখন ডিজিটাল মেশিনে মামলা দেওয়ার কাজ চলছিলো তখনও নানাজনের রেফারেন্স দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সেই বাইকার।
ছবি: বাংলানিউজ
নিজেকে আলহাজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া মুরাদ নামের সেই বাইকারের শেষরক্ষা না হওয়ায় হুঙ্কার দিয়ে বিদায় নিলেন।

কাকরাইল মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, কারো জন্যই ছাড় নয়। মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ, মিডিয়া যেই হোক আইন ভাঙলেই মামলা। এমন নির্দেশনা রয়েছে, কোনো তদবিরে কাজ হবে না।

যানবাহনে ৮০ শতাংশ শৃঙ্খলা এসেছে। আর বিশ শতাংশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে বাংলামোটর মোড়েও পুলিশের জিরো টলারেন্স লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর বাইকাররা সবচেয়ে বেশি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তারা কোনো সিগন্যাল মানতে চান না। লালবাতি থাকলেও ডিগবাজি দিয়ে পার হতে চান!

সকাল পৌনে ৯টায় কারওয়ান বাজারমুখী রোড বন্ধ করে ইস্কাটনে দিকের যানবাহন ছেড়ে দিলে শাহবাগমুখী কতগুলো বাইক হুট করে টান দেয়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে কিছুটা জটও পাকায়। এভাবেই পার হতে বাইকাররা অভ্যস্থ। অন্য সময়ে হলে পার পেয়ে যেতো। কিন্তু এদিন রক্ষা হলো না। বক্সের পাশে দায়িত্বরত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে তাদের পথ আগলে দাঁড়ালেন। সবাইকে মামলা দিয়ে তবেই ছাড়লেন।
ছবি: বাংলানিউজ
বেশ অবাক হতে হলো কদম ফোয়ারা সিগন্যালে। সিগন্যালের প্রথমেই পুলিশ কর্তার গাড়ি আটকা দেখে। অন্যসময় হলে পুলিশ কর্তা কিন্তু ভেঁপু বাজিয়ে চলে যেতেন। নগরীতে যারা চলেন এমন চিত্রে বেশ অবাক। তারা মন্তব্য করেছেন পুলিশের মধ্যে মনে হয় পরিবর্তন এসেছে। এটা ধরে রাখা গেলে খুব কাজে আসবে।

ছাত্র আন্দোলনে স্থবিরতা কাটিয়ে সচল দেখা গেছে নগরী। সকাল থেকেই গণপরিবহন দেখা গেছে, স্কুল কলেজও খুলেছে যথারীতি। শঙ্কাও কেটে যাচ্ছে নগরবাসীর মন থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এসআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।