মৃত মনির ফতুল্লার ব্যাংক কলোনি এলাকার নুরুদ্দিন মিল্কির ছেলে ও ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করতেন।
নিহতের বড় বোন মিনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, মনিরের প্রথম স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, রিয়ার স্বামী সিফাত প্রায় সময়ই মনিরের বাড়িতে বেড়াতে এসে বলত যে, পারুল মনিরের উপর নির্যাতন করে। মনিরকে যেন পারুলের কাছে আসতে দেওয়া না হয়, না হলে তাকে মেরে ফেলবে। এরমধ্যেই আবার বাবুলের কাছে ফিরে যায় পারুল। এরপর থেকেই পারিবারিক লেনদেন নিয়ে পারুল ও মনিরের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। সিফাত সন্ধ্যায় খবর পায় কে বা কারা মনিরকে টেঁটা মেরেছে। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় মনিরকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
খানপুর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, টেঁটাটি মনিরের পেটের বামপাশে বিঁধেছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দিদার বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে মরদেহ দেখতে পেয়েছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগও শুনছি, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের ওই এসআই।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৮
এএটি