আবার রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলি-গলিতে দেখা গেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো তাদের বাস পার্কিং করে রেখেছে। এতে যে বাসগুলো সড়কে চলাচল করছে সেগুলোতে নির্ধারিত আসনের বাইরে অনেক যাত্রী স্ট্যান্ডিং নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিনের ‘অভিজ্ঞতায়’ যাত্রীদের মধ্যে এখনও পুরোপুরি আতঙ্ক কাটেনি। দুর্ভোগের শঙ্কা নিয়েই তারা পথে নেমেছেন। তবে অন্যদিনের তুলনায় বাসের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তিও দেখা গেছে। অনেকেই শিক্ষার্থীদের আর রাস্তায় না নামার অনুরোধ করেছেন।
মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পূরবী সিনেমা হলের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ এনজিওকর্মী আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ছাত্ররা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের ব্যর্থতা। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তবে এবার তাদের ঘরে ফেরার সময় হয়েছে। সরকার তাদের সব দারি মেনে নিয়েছে, অনেকগুলো বাস্তবায়ন করেছে এরইমধ্যে।
আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এখন রাস্তায় থাকলে আন্দোলনের সাফল্য নস্যাৎ হতে পারে। যেভাবে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন নস্যাৎ হয়েছে। আন্দোলন দীর্ঘ করতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছে, যোগ করেন বেসরকারি এ চাকরিজীবী।
নগরীর মিরপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, মহাখালী, কুর্মিটোলা, বিশ্বরোড ও প্রগতী সরণি ঘুরে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার বাসের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক মনে করছেন না যাত্রীরা।
মিরপুর সুপার লিংকের (মিরপুর-আজিমপুর রুটে চলাচল করে) চালক বিপ্লব মিয়া বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনেক বাস ভাঙচুর হয়েছে। সেগুলো মেরামত না করা পর্যন্ত রাস্তায় নামানোর উপায় নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গাড়িগুলো মেরামত করা হবে। তারপর নামবে রাস্তায়।
এদিনও সকাল থেকেই রাজধানীর মোড়ে মোড়ে ব্যাপক যাত্রী উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কিছু সময় অপেক্ষার পর কোনো বাস এলেই গন্তব্যের যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তাতে কেউ কেউ উঠতে পারছেন, অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছেন।
অন্যদিকে সোমবারের মতো সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে কড়া উপস্থিতি। রোদ উপেক্ষা করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। অন্য সময় রাস্তা ছেড়ে পুলিশ বক্সে আড্ডা দিতে দেখা গেলেও এখন চিত্র ভিন্ন। আর পুলিশের সরব এ উপস্থিতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
এসআই/জেডএস