রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেন পিটার বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (০৫ আগস্ট) রাতে ঢাকা বাস মালিক সমিতি থেকে সিদ্ধান্ত আসায় সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
বাস বন্ধের কারণ জানাতে শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মনজুর রহমান পিটার।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল একটি গোষ্ঠী ঢুকে পড়ে বাসে ভাঙচুর চালাচ্ছে। ফলে বাস ও শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা দিনে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সন্ধ্যা থেকে সারা রাত বাস চলাচল করবে। কিন্তু ঢাকা বাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে রোববার সন্ধ্যা থেকে নৈশকালীন বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত শুক্রবার (০৩ আগস্ট) সকালে রাজশাহী থেকে দেশের সব জায়গায় বাস চলাচল বন্ধ কর দেয় রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ। নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে টানা তিনদিন আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এর মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে নৈশকালীন বাসগুলো ছাড়া হয়।
কিন্তু রোববার সন্ধ্যা থেকে নৈশকালীন বাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন এ অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা। ঈদের আগে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় রাজশাহীর সঙ্গে সড়কপথে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
এসএস/আরএ
