রোববার (০৫ আগস্ট) সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশনে ঢাকা অভিমুখী ট্রেনগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই, এগুলো বিশ্ব ইস্তেমা ফেরত নাকি ঈদযাত্রার কোনো ট্রেন!
প্রতিটি ট্রেনেরই ছাদ ছিল যাত্রীতে ঠাসা, ভেতরে অবস্থা সহজেই অনুমেয়। বৃষ্টির চোখ রাঙ্গানো ও দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে দূরে রেখে জীবন হাতে নিয়ে মানুষ আশ্রয় খুঁজছে।
সকাল নয়টায় আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনটি এসে দাঁড়ায় বিমানবন্দর স্টেশনে। এর শেষ বগিতে উঠার চেষ্টা করে অনেকটাই গলদগর্ম হলাম। এরপর সহযাত্রীদের সহযোগিতায় কোনো রকম স্থান হলো কামরার দরজায়।
সেখানেই কথা হচ্ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংককর্মী শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, টঙ্গি থেকে রিকশায় করে বিমানবন্দর স্টেশনে এসে প্রতিদিন কমলাপুর হয়ে অফিস করছেন। কিন্তু সব সময়ই ট্রেনে ওঠা সম্ভব হয়না। কখনো কখনো ট্রেনে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ছে। একবার মিস হলে পরের ট্রেনে যেতে হচ্ছে।
আবার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের মতে, ট্রেনই এখন হয়ে উঠেছে নগরীতে আসা মানুষের একমাত্র ভরসা। তাই জয়দেবপুর, টঙ্গি, বিমানবন্দর, নারায়ণগঞ্জের মানুষের কর্মস্থলে আসার অবলম্বন হয়েছে এ ট্রেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
আরএম/এসএইচ