রোববার (৫ আগস্ট) সকালে বেনাপোলে অবস্থিত সব পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে বাস ছাড়তে নিষেধ করেন স্থানীয় শ্রমিক নেতারা।
এর আগে বাস চলাচল করবে বলে পরিবহন ব্যবসায়ীরা শনিবার (৪ আগস্ট) ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের কাছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেন।
সকালে বেনাপোল বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, অসহায়ের মতো সাধারণ যাত্রীরা আটকা পড়ে কাউন্টারের সামনে বাসের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। কাছাকাছি গন্তব্যের যাত্রীরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে যেতে পারলেও দূরের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে বেনাপোল বন্দর এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আবাসিক হোটেল না থাকায় ভারত ফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েকটি হোটেলে সিট পাওয়া গেলেও পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে।
ভারত ফেরত ফাইভ স্টার পরিবহনের যাত্রী জেবা বাংলানিউজকে বলেন, তিনি গতকাল ভারত থেকে ফেরার আগে বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করলে তারা জানায় গাড়ি চলবে। পরে বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে কাউন্টার থেকে বলা হয় শ্রমিক ইউনিয়নের চাপে গাড়ি ছাড়তে পারছেন না তারা। কবে নাগাদ গাড়ি ছাড়বে তার বিষয়েও মুখ খুলছেন না সঙ্গে খরচের টাকাও শেষের দিকে তার। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবেন কীভাবে চলবেন বুঝতে পারছেন না তিনি।
বেনাপোল ফাইভ স্টার পরিবহনের ম্যানেজার আশা বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের নিষেধাজ্ঞায় তারা বাস ছাড়তে পারছেন না। যাত্রীদের কাছে বিক্রিত টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে প্রায়ই বাস-ট্রাক চাপায় প্রাণ হারায় পথচারীরা। তাই নিরাপদ সড়কের দাবিতে এখানে শিক্ষার্থীরা রাস্তাই না নামলেও এখানকার সড়ক সংস্কার ও শৃঙ্খলা রক্ষা জরুরি।
এদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও বন্দর নগর বেনাপোলে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে রাস্তায় নামেনি। জানা গেছে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপে তারা দাবি আদায়ে নামতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআইএস/