শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে সমরিতা হাসপাতাল থেকে তৃপ্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার শুক্কুরপুর গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে তৃপ্তি।
তৃপ্তির দুলাভাই মোজাফফর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে তৃপ্তির মা-বাবা বাসার বাইরে ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে তৃপ্তির বড় বোন কুলসুম তৃপ্তিকে নাস্তা করার জন্য ডাকতে ২য় তলায় যান। তখন তৃপ্তি পরে খাবে বললে কুলসুম নিচে চলে আসেন। পরে আবার সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ডাকতে গেলে রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। দরজার নিচ দিয়ে তিনি দেখেন তৃপ্তি ফ্লোরে পড়ে আছে। এরপর রুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে আমি ভেতরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে সমরিতা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, তৃপ্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রুমটি বাইরে থেকে তালা দিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে তৃপ্তির মা আমেনা ও বোন কুলসুমকে বাসায় পাঠিয়ে দিলে তারা গিয়ে রুমের দরজা খুলতেই এক যুবক ভেতর থেকে পালিয়ে চলে যান।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে সমরিতা হাসপাতাল থেকে তৃপ্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তা দেখে ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে রুম থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই যুবককে সনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটক করতে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এজেডএস/টিএ