শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিতে গেলে তাদের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাড়িতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে এলে তাদের হাতে থাকা নানা স্লোগান সম্বলিত কাগজ ও প্লাকার্ড নিয়ে যাওয়া হতে থাকে। মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত শিববাড়ির মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এছাড়া মহানগরীর সোনাডাঙ্গা সোলার পার্কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শ্রমিকরা মেরেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, জনদুর্ভোগ ঠেকাতে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে কাজটি করার দরকার সে কাজটি করছে।
তিনি দাবি করেন, শুক্রবার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষার্থীরা যেন অবস্থান না নিতে পারে সেজন্য যা প্রয়োজন তা করা হবে। সে মোতাবেক শিক্ষার্থীদের শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাতে সোনাডাঙ্গা এলাকায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করার অভিযোগের জবাবে ওসি বলেন, নিয়মিত অভিযান তো চালানো হয়ে থাকে। তবে কোনো ছাত্র আটক করা হয়নি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টা জবাবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বাস না নামানোয় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
গত ২৯ জুলাই বাসচাপায় ঢাকার রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের সমর্থন জানিয়ে খুলনায়ও শুরু হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/