শুক্রবার (০৩ আগস্ট) সকাল থেকেই আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার পরিবহনগুলো চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির (২২৭) প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে শ্রমিক সংগঠন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরেজমিন যশোর শংকরপুর নতুন বাস টার্মিনাল এবং মণিহার মোড়ে দেখা গেছে, যশোর-খুলনা, যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর-বেনাপোল, যশোর-কুষ্টিয়া, যশোর-মাগুরা, যশোর-নড়াইল, যশোর-চৌগাছা, যশোর-কেশবপুরসহ ১৮টি রুটের যানবাহন পুরোপুরি বন্ধ। এসময় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নেতা-কর্মীদের রাস্তায় দেখা গেছে। ফলে এসব রুটের যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
শংকরপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় বেনাপোলগামী যাত্রী সোহরাব হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভোর ৫টায় নড়াইলের বাড়ি থেকে রওনা হয়ে যশোর পৌঁছাতেই ১২টা বাজল, এখন কিভাবে বেনাপোল যাবো বুঝতেছি না। এখন একজনের পরামর্শে স্টেশনে যাচ্ছি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ছাত্ররা নিরাপদ সড়ক চাইলেও পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের জিম্মি করে ফেললো!
কুষ্টিয়াগামী যাত্রী ষাটোর্ধ মতলেব গাজী বাংলানিউজকে বলেন, কোনো শিক্ষার্থী তো আজ রাস্তায় নেই, তাও এরা গাড়ি বন্ধ করে দেছে। অথচ, জামায়াত-শিবির রাস্তায় প্রতিদিন যখন পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে দেছে তখন এই শ্রমিকরা নিরাপত্তার অভাব মনে করেনি, এই হলো আমাদের দেশ! উপর থেকে কলকাঠি যেভাবে নাড়ে, এরাও সেইভাবে চলে। আর উচিৎ কথা বলতে গেলে, আমাদের মতো আমজনতাকে রাজাকার নয়তো জামায়াত বলে ঠাণ্ডা করে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, গাড়ি বন্ধের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে থাকলেও কোথাও নিরাপত্তার শংকা নেই, সবখানেই পুলিশ দায়িত্বে রয়েছে। এপর্যন্ত কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
ইউজি/এনএইচটি