জানা যায়, রামভদ্রপুর এলাকার ‘আল হেরা আটো রাইচ’ চালকলটি দিনরাত সারাক্ষণই চলে। এতে চালকলের তীব্র শব্দ, ছাই ও তুষ ছড়িয়ে পড়া এবং ধান পচানো পানির গন্ধে বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী।
ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তানভীর হোসেন, মাসুম, সাফিউল্লাসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র বাংলানিউজকে জানায়, চালকলটির ছাইয়ের জন্য আমরা স্কুলে ভাল জামাকাপড় পরে আসতে পারি না। পরিষ্কার জামা পরে আসলে কিছু সময়ের মধ্যেই ছাই পড়ে ময়লা হয়ে যায়। আবার চোখের ভেতরে ছাই পড়ে। ছাই ও ধূলিকণার জন্য স্কুলমাঠে আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। পাশাপাশি আমাদের ক্লাসরুম নোংড়া হয়।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম রায় বাংলানিউজকে জানান, চালকলটি স্কুলের পাশে হওয়ার কারণে বাতাসে চালকলের ছাই ও ধূলিকণা উড়ে স্কুলের ভেতরে চলে আসছে। ফলে স্কুলের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছু অপরিষ্কার হয়ে থাকে। এ বিষয়ে চালকল মালিককে অভিযোগ দিলে বেশ কয়েকদিন ভাল থাকে। কিন্তু কয়েকদিন পরে আবারো ছাই এবং ধূলিকণা উড়তে শুরু করে।
‘আল হেরা আটো রাইচ’ চালকলের মালিক এবং রামভদ্রপুর জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, আমাদের এই চালকলটি ২০০১ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রায় ১৩ বছর আগে চালকলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ছাই এবং ধূলিকণা এগুলো সব সময় উড়ে না। মাঝে মধ্যে বাতাস বেশি হলে উড়ে স্কুলের দিকে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
এনটি