পূর্বধলা উপজেলার কালডহর গ্রামের গৌরী রাণী মহন্ত। স্বামী তাকে ফেলে গেছেন বহুবছর।
সুবিধাভোগীরা বলেন, ভিটে ছিলো কিন্তু মাথার ওপর কোনো চাল ছিল না। বৃষ্টিতে ভিজেছি, রোদে শুকিয়েছি। মানুষ হয়েও পশুপাখির চেয়ে খারাপ অবস্থায় দিন কাটিয়েছি। দেখার কেউ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর আর টয়লেট দিচ্ছেন, এখন আমরা মানুষের মতো থাকতে পারবো। যিনি আমাদের মানুষের মতো জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে আমরা চাই, বঙ্গবন্ধু কন্যা আবারও ক্ষমতায় আসুক। আমরা যতদিন বেঁচে আছি তাকেই ভোট দেবো।
পূর্বধলা উপজেলা পরিষদে চলছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মাণ কাজ। সে কাজ ঘুরে দেখতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নমিতা দে বাংলানিউজকে জানান, জেলার ১০ উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়নে জমি আছে ঘর নেই হতদরিদ্র এমন সব মানুষ এ সুবিধা পাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ২০টি করে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা সদর ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ বা বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৬টি ঘর। প্রতিটি ঘর সাড়ে ১৬ ফুট বাই সাড়ে ১০ ফুট এবং এর বারান্দা হবে সাড়ে ১৬ ফুট বাই পাঁচ ফুটের। সঙ্গে থাকবে এটি করে স্যানেটারি ল্যাট্রিন। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা।
তিনি বলেন, পূর্বধলার ১১টি ইউনিয়নের ২২০টি পরিবারকে এ ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন সার্বক্ষণিক কাজের তদারকি করছেন বলেও জানান ইউএনও।
কথা হয় চেয়ারম্যান সুজনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় কথা দিয়েছেন, দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। কারণ, সরকার গৃহহীনদের খুঁজে বের করে সরকারি খরচে ঘর নির্মাণ করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত জনগণকে যতো কথা বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সব রক্ষা করেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
এসআই