মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের পিকআপ ভ্যান উল্টে দেওয়াসহ যানবাহনও ভাঙচুর করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে নগরী যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ে।
বুধবার (১ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার পর নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়তে থাকে। ঝুম বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক স্থানে হাঁটু পানি জমে যায়। একই চিত্র মিরপুর ১০ নম্বরেও হওয়ায় যানবাহন শূন্য হয়ে পড়ে এলাকাটি।
এদিকে বনানী-কাকলীতে দেখা যায় ঘর মুখো মানুষ পরিবহনের অপেক্ষায় থেকে কোনো বাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরেছেন। সড়কে বাস ছিল না বললেই চলে। দীর্ঘ সময় পর দুই-একটি বাসের দেখা মিললেও সেগুলো ছিল যাত্রীতে ঠাসা।
মেয়ে হিমুকে নিয়ে বনানীতে দেড় ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজমপুরে যাবো, বনানীর একই স্থানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু কোনো বাস পাচ্ছি না। কয়েকটি বাসের দেখা পেলেও যাত্রীর জন্য উঠা মুশকিল। ’
রাত সাড়ে নয়টায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা, বাড্ডা, পল্টন ও মতিঝিলগামী কোনোও বাস মেলেনি যাত্রীদের। তাই ট্রাক-পিকভ্যানে করে ঘরে ফিরছেন দুর্ভোগে পড়া মানুষ। বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এসব পিকঅ্যাপ ভ্যানে জনপ্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা।
বনানী থেকে এয়ারপোর্টগামী সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বননীতে দুপুর দুইটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত খাড়াই রইছি ভাই কোনো বাস নাই। এখন গরুর ট্রাকে যাইতেছি ভাই। গরু পরিবহনে ২০ টাকা ভাড়া! ১৫ টাকা সাধছি নেয় নাই। গরুর ট্রাকেও ২০ ট্যাকা নিতাচে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এমআইএস/জেআইএম/আরআইএস/