ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শরণখোলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৮
শরণখোলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ছবি/বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় ১৫ দিনের ব্যবধানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

বুধবার (০১ আগস্ট) সকালে উপজেলার বগী বাজার সংলগ্ন বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার ভেঙে নদীতে মিলিয়ে যায়। এ জায়গা থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে বগী, তেরাবেকা ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের অধিকাংশ জায়গা প্লাবিত হয়েছে।

কাঁচাঘরে পানি উঠে পড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে এলাকাবাসী।

এর আগে, ১৫ জুলাই ৩৫/১ পোল্ডারের বিভিন্ন জায়গা ভেঙে প্রায় ৫০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

বগী গ্রামের বাসিন্দা আ. রাজ্জাক হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, সকালে হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে অনেকের ঘর-বাড়িতেও পানি উঠে গেছে। অনেকের রান্নার চুলা এখন পানিতে নিমজ্জিত। এ অবস্থায় আমরা খুব সমস্যায় আছি।

বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।  ছবি/বাংলানিউজ

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বাংলানিউজকে বলেন, প্রায়ই বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ না থাকায় ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান কোনো কাজ আমরা দেখছি না। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাতে হবে গ্রামবাসীর।

জানা যায়, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কোস্টালইম ব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিইআইপি) নামে প্রকল্পের আওতায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ৩৫/১ পোল্ডারের আওতায় ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু এ কাজ শুরুর পর থেকেই নদী শাসন না করার ফলে একাধিক জায়গা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হতে থাকে। এরপরও জোড়াতালি দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা।

সিইআইপি প্রকল্পের প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, বলেশ্বর নদীর পানির চাপে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। লোকালয় থেকে পানি কমে গেলে বৃহস্পতিবার থেকে ভাঙন কবলিত স্থানে রিংবাঁধ দেওয়া শুরু হবে।

শরণখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।