মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
কাবিল উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ ওরফে শহিদুলের ছেলে।
র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের স্কোয়ার্ড কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাতে র্যাবের একটি টহল দল বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা এলাকায় সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চলে যায়। তাকে গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। একই সময়ে ওই এলাকার মহিষভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে কিছু লোকের আনাগোনা দেখা যায়। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে টহল দল ওই স্থানের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাকিরা পালিয়ে যান। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত দুই র্যাব সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলির খোসা, ২৮০ পিস ইয়াবা ও দু’টি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়।
পরে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস নিহত ব্যক্তির নাম কাবিল হোসেন নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক সংক্রান্ত ১৩টি মামলা রয়েছে। জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক বিক্রেতা হিসেবেও তার পরিচিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
আরবি/