মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় বিক্ষোভকালে আহত হন তিনি। শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন তিনি।
আহাদ মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের প্রিয়াংকা হাউজিংয়ের ৫ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি। তার বাবার নাম নুরুল আলম।
নুরুল বাংলানিউজকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে কলেজে যান আহাদ। কলেজের সামনে গিয়ে দেখতে পান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের হট্টগোল চলছে। এসময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের সময় আহাদের মাথায়ও আঘাত লাগে। তখন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নুরুল আরও জানান, আহাদ অসুস্থ ছিলেন, ছুটির আবেদনের জন্য কলেজে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে গিয়ে জখম হলেন তিনি।
আহাদকে চিকিৎসা দেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ১০৩ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, তার মাথার সামনে দিকে আঘাত রয়েছে, একটি ছোট অস্ত্রোপচার লাগবে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্কয়ার থেকে মোবাইল ফোনে নুরুল আলম জানান, এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আহাদের দ্রুত একটি অস্ত্রোপচার লাগবে। শিগগির তার অস্ত্রোপচার করা হতে পারে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুরে গাড়ি ভাঙচুরের সময় আহাদ আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে, এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার আহাদকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/