ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ দীর্ঘ যানজট। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিমানবন্দর সড়কের এমইএস এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কারণে দীর্ঘ যানজট পৌঁছে গেছে গাজীপুরের প্রায় কলেজগেট এলাকা পর্যন্ত।

তীব্র যানজটের আগুনে কেরোসিন ঢালছে রাস্তার বেহাল দশা। ভাঙাচোরা রাস্তায় ব্যাপক খানাখন্দে পরিপূর্ণ ও জলাবদ্ধ থাকায় চওড়া রাস্তায় একটি লেন ধরে চলছে সব পরিবহন।

যে কারণে জ্যামের লাইন দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘ হচ্ছে এই ব্যস্ততম সড়কটিতে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে আবার গাড়ি ছেড়ে যাত্রীদের অনেকেই হেঁটে রাস্তা পাড়ি দেওয়ার জন্য নামলেও আটকে যাচ্ছে এই ভাঙারাস্তা ও নোংরা কাদাময় জলের জন্য।

সোমবার (৩০ জুলাই) গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, পথচারীদের ভোগান্তি এবং তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া গাজীপুর থেকে উত্তরা, এয়ারপোর্ট এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষমান যাত্রীদের দেখা গেছে।

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে আসা গাড়িগুলো এয়ারপোর্ট থেকে ঘুরিয়ে দেওয়ায় থেমে থেমে আসা গেলেও প্রায় চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে বলে জানান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান। রাস্তায় কাদা-পানির কারণে হেঁটেও যেতে পারছে মানুষ।  ছবি: বাংলানিউজবাংলানিউজকে তিনি বলেন, সকালে ৮টায় চৌরাস্তা থেকে গাড়িতে উঠেছি। আর ১২টা ১৫ মিনিটে এয়ারপোর্ট নেমেছি। এরপর না-কি গাড়ি আর যাবে না। এখন এখান থেকেই আবার ফিরে যাচ্ছি বাসায় অর্থাৎ গাজীপুরে। গাজীপুরের রাস্তাটা যদি ভালো থাকতো থাহলে অন্তত আরও আগে এসে পৌঁছাতে পারতাম। অবশ্য এসেও লাভ হতো না।

এদিকে, কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছেন নকীব। তিনি বলেন, আমার আত্মীয় গুরুতর অসুস্থ। আমি তাদের জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছি। যা তাদের জরুরি দরকার। চৌরাস্তা থেকে কলেজগেট আসার পর জ্যামে এক ঘণ্টা বসে থেকে নেমে রিকশায় উঠলাম। কিন্তু রিকশায় উঠেই বুঝেছি এটাও ভুল সিদ্ধান্ত। রিকশা তো আগাতে পারছেই না আবার থেকে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার পাশেও যে পরিমাণ কাদা আর জলাবদ্ধতার সঙ্গে বড় বড় গর্ত। কোথায় আছে গর্ত তা তো জানা সম্ভব না। তাই আবার বাধ্য হয়ে গাড়িতে উঠে বসে থাকলাম। এক লেন ধরে গাড়ি আগাতে আগাতে আস্তে-ধীরে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আসলাম। এরপর এখন রাস্তাই বন্ধ। হেঁটে যাবো বাকিটা। অন্তত গর্ত আর কাদা নেই। রাস্তায় কাদা-পানির কারণে হেঁটেও যেতে পারছে মানুষ।  ছবি: বাংলানিউজ ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের রিল্যাক্স পরিবহনের ড্রাইভার শিপন বাংলানিউজকে বলেন, কলেজগেট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত আমাদের থেকে থেকে স্লো করেই যেতে হয়। আজকে এই জ্যামের মাত্রায় আরও নতুনত্ব সংযোজিত হয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি আব্দুল্লাহপুরের পর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবে। পরে আমরাও এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে আবার ময়মনসিংহ যাবো।

এদিকে, আব্দুল্লাহপুরের পর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষমান যাত্রীদের বড় বড় জটলা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু গাড়িতে যাত্রী নিচ্ছে না গণপরিবহনগুলো। কারণ যেখানেই ইউটার্নের সুযোগ রয়েছে সেখান থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছে পরিবহনগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।