ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গোপসাগর থেকে ৪ জেলের মরদেহ উদ্ধার

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
বঙ্গোপসাগর থেকে ৪ জেলের মরদেহ উদ্ধার

পাথরঘাটা (বরগুনা): সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে চার জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আরো তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। 

শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

উদ্ধার কাজ শেষে ফিরে আসা জেলে মো. মতিয়ার রহমান, মো. হারুন, ও মো. বাদশা মিয়ার বরাত দিয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার (২১ জুলাই) গভীর সমুদ্রে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরা ট্রলারসহ অনেক জেলে ডুবে যায়। সোমবার (২৩ জুলাই) ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ডুবে যাওয়া জেলেদের অনুসন্ধানের জন্য তিনটি ট্রলার সাগরে পাঠানো হয়। পাঁচদিন পর শনিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে এফবি শাহজালাল ট্রলারের জেলেরা পাথরঘাটা উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের তোতা মিয়া, এফবি ভাই ভাই ট্রলারের বরগুনার গুলিশাখালী গ্রামের মো. লিটন ও স্বপনকে ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পৃথক তিন জায়গায় থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো বিকৃত হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন মান্দারবাড়িয়া, আলোরকোল ও দুবলার চর এলাকায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়।  

তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলে হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মরদেহ বিকৃত হওয়ায় নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে, বুধবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এফবি মা-বাবার দোয়া নামে একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ১২ জেলেসহ ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর এফবি এলাহি ভরসা নামে অপর একটি ট্রলারের জেলেরা ১১ জনকে উদ্ধার করলেও মো. শহিদ মিয়া নামে এক জেলে নিখোঁজ থাকেন। নিখোঁজের চারদিন পর রোববার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ট্রলারের ভেতর থেকে জেলে শহিদুলের মরদেহ পাওয়া যায়।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, ফিরে আসা জেলে এবং নিহতদের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (২১ জুলাই) ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৯২ জন জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে ৩৫ জেলে ফিরে এলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৫৭ জন জেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এসআরএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।