রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনরোধে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মাদক আইনে পরিবর্তন আসছে উল্লেখ করে ফরিদ উদ্দিন বলেন, বর্তমান মাদক আইনে ধরা পড়ছে দুর্বলরা, যাদের কাছে ১০-১৫ পিস ইয়াবা রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে বাড়তি ৬ হাজার ৭০০ লোক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এ নিয়োগগুলো হলে অধিদফতরে জনবলের ঘাটতি পূরণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারের উচ্চপদস্থ এ কর্মকর্তা বলেন, মাদকের যোগান হ্রাসের পাশাপাশি চাহিদাও হ্রাস করতে হবে। আমাদের দেশে মাদক উৎপন্ন না হলেও আমরা ভুক্তভোগী। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২৭-২৮ হাজার কমিটি কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
মাদক নিয়ন্ত্রণে ভারত সহযোগিতা করলেও সীমান্তবর্তী আরেক দেশ মিয়ানমার কোন সহযোগিতা করছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে দেশের ব্যবসায়ী ও সীমান্ত এলাকায় মাদকের কারখানার তালিকা আমরা দিয়েছি। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সঙ্গে মাত্র তিনটি বৈঠক হয়েছে। মাদকের এ অবস্থার পেছনে মিয়ানমারের শক্তিশালী কোন চক্র বা কোন বাহিনী যুক্ত থাকতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের সক্ষমতা খুবই নগণ্য। তাই আমরা বিজিবি-কোস্টগার্ড, র্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, অর্থনীতিবিদদের মতে মাদকের কারণে প্রতিবছর ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযান শুধু মাদকের বিরুদ্ধে নয়, এটা খুন, ধর্ষণসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে। কারণ সব অপরাধের মূলেই এই মাদক।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
পিএম/জেডএস