শনিবার (২৮ জুলাই) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৯ জুলাই) সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে শাওনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে শাওন ‘বড় ভাই শাওন’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে ইংরেজিতে ‘সবাই আমাকে মাফ করে দাও’ লেখাটি সবশেষ পোস্ট দেন।
নাচনাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফরিদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় আল-আমিনের ছেলে আরাফাতের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাওনের মারামারি হলে শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মীমাংসা করে দেয়া হয়। পরে জালালকে তার ছেলে শাওনকে শোধরানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হয়। ওই সময় কয়েকশ লোকের উপস্থিতে জালাল তার ছেলেকে চর-থাপ্পর দেয়ার জন্য উদ্যত হলে শাওন দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, শাওন তার বাবার সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
শাওনের বাবা জালাল হাওলাদার মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, কি কারণে শাওন আত্মহত্যা করেছে তা আমি জানিনা।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এসআরএস