ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মন্ত্রীদের ৪৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
মন্ত্রীদের ৪৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা মেয়র সাঈদ খোকন/ফাইল ফটো

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) অঞ্চল-১ এর ধানমন্ডি, কলাবাগান, সেগুনবাগিচা ও মন্ত্রীপাড়ার ৪৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তবে সংস্থার অন্য অঞ্চলে এর উপস্থিতি খুবই নগন্য বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর বীরউত্তম সিআর দত্ত সড়কের কাঁঠালবাগান ঢালে ‘এডিস মশার লার্ভা শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণ’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় একথা জানান মেয়র।

এর আগে এডিস মশার লার্ভা-প্রজননস্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে ডিএসসিসির এ অঞ্চলে ব্যাপকহারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় এ কর্মসূচি নেওয়া হয়।



এসময় সাঈদ খোকন বলেন, গত ২৫ জুন থেকে আমাদের এ কর্মসূচি চলাকালে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসায় বাসায় গিয়ে আমাদের কর্মীরা মশকের লার্ভা ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি ওইসব বাসা মালিকদের এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪২টি বাড়িতে।

‘আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি অঞ্চল-১ এ প্রায় ৪৫ শতাংশ বাড়িতেই মশকের লার্ভা পাওয়া গেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এ কারণে আমরা এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণে আবারও কর্মসূচি নিয়েছি। এতে অঞ্চল-১ কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে ধানমন্ডি, কলাবাগান, মন্ত্রীপাড়া ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাসাগুলোতে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এই এলাকার প্রায় প্রতি তিন বাড়ির একটিতে আমরা মশকের লার্ভা পেয়েছি। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ২, ৩, ৪, ৫ এলাকার অবস্থা ভালো। হিসাব অনুযায়ী এই এলাকার বাড়িগুলোর অবস্থা অতটা উদ্বেগজনক নয়। ’

এসময় মেয়র তার সংস্থার মতো ঢাকার আশপাশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকেও একযোগে এই কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব মো. শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শেখ সালাহউদ্দীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।