ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

অতিরিক্ত রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা না দিলে বিমান খালি যাবে

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
অতিরিক্ত রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা না দিলে বিমান খালি যাবে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চলতি বছর হজযাত্রার শুরু থেকে সব ফ্লাইট নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও ১৪তম দিনে যাত্রী সংকটে পড়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দু’টি ফ্লাইট। সামনের দিনগুলোতে আরও সংকটের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশ (হাব)।

এর কারণ হিসেবে হাব বলছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এখনও আট হাজার টিকিট অবিক্রিত রয়েছে। অতিরিক্ত আরও রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা না দিলে বিমান খালি যাবে।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না পাওয়ায় দু’টি ফ্লাইট বাতিল করে বিমান। এগুলো হলো- বিজি-১০৪৫, যেটি সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। অপর ফ্লাইট বিজি-৭০৪৫, যেটি সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। এ ফ্লাইট দু’টির যাত্রীদের পরবর্তী ফ্লাইটগুলোতে অ্যাড করে নেওয়া হবে বলে জানায় বিমান। আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি ফ্লাইট ও সৌদি এয়ারলাইন্সের সাতটি ফ্লাইটে করে হজযাত্রীদের পরিবহন করা হচ্ছে।

হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪০০ যাত্রী যাবে না। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৬০০ জন বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় যেতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। যেখানে নতুন করে রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ পাচ্ছেন তিন হাজার ৮০০ জন। উড়োজাহাজগুলোর আসন পূর্ণ করতে সব এজেন্সির যতগুলো রিপ্লেসমেন্ট করা দরকার তার সবগুলো করতে হবে। অন্যথায় টিকিট অবিক্রিত থেকে যাবে।

আরও কি পরিমাণ রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন। এমন প্রশ্নের জবাবে হাব মহাসচিব বলেন, সব মিলিয়ে আট শতাংশ। এটা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। তবে এটা করলে আমি বলতে পারি সব সমস্যা কেটে যাবে। পাশাপাশি সব টিকিটেরও নিশ্চয়তা দিতে পারি।

টিকিটের জন্য ডিও ইস্যু হলেও অনেকে কাটছেন না কেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ৫৬ হাজার ডিও ইস্যু হয়েছে। তাছাড়া এখনও অনেক এজেন্সি সৌদি আরবে আছেন যারা বারকোড নিয়ে আসতে পারেননি। সেখানে সবচেয়ে জটিল বিষয় হলো হজ ব্যবস্থাপনা। তাদের কাজ শেষ হয়নি, শেষ হলে টিকিটও হবে।  

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

যাত্রীদের বহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয় বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮৭টি ফ্লাইট ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮৮টি ফ্লাইট ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।