বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শালিখা উপজেলার শাবলাট গ্রামের মৃত বিশারত মোল্লার ছেলে মহব্বত হোসেন। আদালত মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী শেখ গোলাম নবী শাহিন বাংলানিউজকে জানান, গত ৩১ মার্চ উপজেলার শাবলাট গ্রামের কামরুল মোল্যার বাড়িতে টেকনাফের জামাল হোসেনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে অবস্থান করছিলেন বলে মহব্বত হোসেন জানতে পারেন। তিনি বিষয়টি শালিখা থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেন। পরে ওসি মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ২০ হাজার পিসের পরিবর্তে ২২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে তাদের আদালতে চালান করেন ও বাকি ইয়াবা তার হেফাজতে রাখেন। এরপর ওই মামলায় ইয়াবার সন্ধানদাতা তার মক্কেল মহব্বত হোসেনকেও আসামি করা হয়। পরে মহব্বত হোসেনকে ওসি বলেন, ৫০ হাজার টাকা দিলে চূড়ান্ত চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হবে। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে মহব্বত হোসেন ১৪ মে ওসি রবিউল হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও ওসি চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেননি।
ওসি রবিউল হোসেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগিতা করে আসছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি রবিউল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইয়াবা উদ্ধারে অভিযান চালানোর সময় আমি ছিলাম না। মহব্বত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে থানায় আটটি মাদকের মামলা আছে। মামলার হাত থেকে বাঁচতে তিনি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এনটি