সোমবার (২৩ জুলাই) সকালে উপজেলার ভাটেরচর এলাকার সেতুর নিচের খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ থানার হালিশহর এলাকার গোলাম মাওলার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে। তার নাকে ও মুখে রক্তমাখা ছিল। পায়েলের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে আছে। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব বলেন, শনিবার (২১ জুলাই) রাতে হানিফ পরিবহনে (নং ৯৬৮৭) করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন পায়েল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু আকিবুর রহমান আদর (২১)। পথে মেঘনা ব্রিজের কাছে গাড়ি থামলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাস থেকে নামে পায়েল। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা না করে গাড়ি ছেড়ে দেয়, ফলে সে গাড়িতে আর উঠতে পারেনি। এমনকি তার মোবাইলও গাড়িতে রয়ে যায়।
সকালে পায়েলের মা কোহিনুর বেগম ছেলের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে পাশের সিটের থাকা তার রুমমেট আদর জানান পায়েল গাড়িতে নেই।
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় নিখোঁজ পায়েলের মামা গোলাম সরওয়ার্দী বিপ্লব নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় নিখোঁজ দেখিয়ে একটি জিডি করেন।
গাড়ির সুপারভাইজার জনিকে (৩০) ফোন করলে তিনি পায়েলের মামা বিপ্লবকে জানান, রোববার (২১ জুলাই) চট্টগ্রামের একেখান সখিনাস্থ কাউন্টার থেকে রাত ১০টায় রওনা করেন তারা। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বন্দর থানাধীন ক্যাসেল রেস্টুরেন্টের কাছে যানজটের কবলে পড়ে গাড়ি। এ সময় সে (পায়েল) গাড়ি থেকে বের হয়। জ্যাম ছেড়ে রাস্তা ফাঁকা হলে গাড়ি দ্রুত ছেড়ে দেয়। ফলে আর সে গাড়িতে উঠতে পারেনি।
সাইদুর রহমান পায়েল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। ঢাকায় তিনি একটি আবাসিক এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
আরএ