রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানান মিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির।
তিনি জানান, বুয়েটের প্রকৌশলীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শনিবার (২১ জুলাই) মিরপুর ১০ নম্বরের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে মাটির নিচে গুপ্তধন রয়েছে এমন দাবিতে খনন কাজ শুরু করা হয়। এসময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২২ জন শ্রমিক দুইটি রুমের খনন কাজ শুরু করেন। সাড়ে চার ফুট খনন করার পরে বাড়িটির প্রাচীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় খনন কাজ চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়।
তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাড়িটি জল্লাদখানার মতো ছিল। গত ১০ জুলাই ওই বাড়িতে গুপ্তধন রয়েছে মর্মে আবু তৈয়ব নামে একলোক থানায় অভিযোগ করেন। তিনি নিজেকে সেই সময়ের ওই বাড়ির মালিকের আত্মীয় দাবি করেন। এরপর ১৪ জুলাই ওই বাড়ির বর্তমান মালিকের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়।
দুই পক্ষই বাড়িতে গুপ্তধন থাকার কথা জানিয়ে জিডি করায় পুলিশ বিষয়টি আদালত ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে জানায়। এরপর আদালতের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িটিতে খনন কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/