শুক্রবার (২০ জুলাই) দিনগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২১ জুলাই) সকালে নিহত গৃহবধূর বাবা মঞ্জিল প্রামাণিক বাদি হয়ে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
নিহত গৃহবধূ মলেনা কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার হাটশহরিপুর গ্রামের মঞ্জিল প্রামানিকের মেয়ে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- স্বামী শাখাড়িপাড়া গ্রামের চাঁন মোহাম্মদের ছেলে গোলাম রাব্বানী (৩৭), শাশুড়ি সামিউন বেগম (৬০) এবং ননদ সুর্য্যবাড়ি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী পারুল বেগম (৩৪)।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুর হোসেন খন্দকার বাংলানিউজকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকালে গৃহবধূ মোলেনার সঙ্গে শাশুড়ি সামিউন বেগম ও ননদ পারুলের ঝগড়া হয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ঝগড়া হয়। এক পর্যায় সন্ধ্যায় ননদ ও শাশুড়ি মিলে মোলেনাকে মারধর করে। পরে রাতে মোলেনার স্বামী গোলামী রাব্বানী বাড়িতে এসে আবারো মোলেনাকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মোলেনা মারা যান। পরে এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বাড়ির রান্না ঘরে মোলেনাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবেশিদের বিষয়টি সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রির্পোটের সময় মেলেনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতের স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা দায় স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এনটি