শনিবার (২১ জুলাই) দুপুর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জয় বাংলা ও শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নামে নানা স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় গোটা এলাকা।
অন্যদিকে, গণসংবর্ধনা উপলক্ষে পরিবহন সংকটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই যাত্রা করছেন নিজ গন্তব্যে।
যদিও গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, কর্মদিবসে রাস্তা বন্ধ করে কোনো শোভাযাত্রা হবে না এবং অনুমতিও দেওয়া হবে না। এমনকি আওয়ামী লীগকেও অনুমতি দেওয়া হবে না।
শনিবার (২১ জুলাই) সরকারি ছুরির দিন হলেও বেসরকারি সব অফিস খোলা ছিল। তাই দিনের কর্মব্যস্ত সময় পার করে ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয় পরিবহনের জন্য। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন অনেকে। পরিবহনগুলো দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়ায় কারণে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করছেন সাধারণরা।
রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি কাজ করেন একটি বেসরকারি হজ এজেন্সিতে। সকাল থেকে হজক্যাম্পে কাজ করেছেন তিনি। দুপুর ২টার দিকে কোনো গাড়ি না পেয়ে বাড্ডার বাসার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা হন। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে একটি গাড়ি পেলেও অনেক লোকের সমাগম থাকায় ওঠতে পারেননি তিনি।
রেজাউল বলেন, সব গাড়ি আজ প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। যে কারণে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না।
রিপন নামে একজন বলেন, আমি দুপুর থেকে এয়ারপোর্টের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাইনি। যে গাড়িগুলো চলছে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে। তাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠানো হচ্ছে না।
অন্যদিকে, পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায়ও গাড়ি কম চলায় সাধারণ যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে পায়ে হেঁটেই নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
ইএআর/টিএ