শনিবার (২১ জুলাই) এ আয়োজন ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাজ সাজ রব। সেইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
বিকেল ৪টায় মূল অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। ঐতিহাসিক এই উদযাপনকে নির্বিঘ্ন করতে পুরো এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাড়তি পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্বর, টিএসসি এলাকাসহ উদ্যানের চারপাশে বাড়তি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের। এছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে, যার মধ্য দিয়ে সবাইকে উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশ মোতায়েনসহ প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত সব টিম। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। নেতাকর্মীদের প্রবেশের সময় আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও এনালগ তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
ডিএমপি'র রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আজকের জনসভায় বিপুল সংখ্যক জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিন ভোর থেকেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সভাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ও ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
পিএম/জেডএস